Motivational speech in bangla status-মোটিভেশনাল উক্তি বাংলা ২০২5

 বন্ধুরা কিছু ছোট ছোট নিয়ম আমাদের জীবনে অনেক বড় বড় পরিবর্তন আনতে পারে। যে ব্যক্তি জীবনে কোনো নিয়ম নেই, কোনো অনুশীলন নেই, তার সারাটা জীবন বিভিন্ন সমস্যায় পরিপূর্ণ থাকে।



এই ধরনের ব্যক্তির জীবন কখনো সহজ হয় না। তারা জীবনে বুঝে উঠতে পারে না তাদের কি করা উচিত। আর কি করা উচিত নয়। নিয়মই আমাদের জীবনের সঠিক বিষয় বুঝতে সাহায্য করে। আর নিয়মের মধ্যে না থাকলে জীবনটা ওলট-পালট হয়ে যায়।



আমাদের বেঁধে রাখার জন্য নিয়ম এর প্রয়োজন হয় না বরং সমস্যা এড়ানোর জন্য জীবনে নিয়মের প্রয়োজন হয়। যাতে আপনার শরীর এবং মন দুটোয় সুস্থ থাকে। তাই নিয়মের প্রয়োজন। আর যদি আপনি জীবনে সফলতা পেতে চান খুশি পেতে চান এবং নিজেকে সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চান, তাহলে আপনি অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে চলুন। অতীতকে দূরে সরিয়ে রাখুন। যাতে সেটা বর্তমানকে নষ্ট করতে না পারে। আপনার অতীতের সমস্যা অতীতের দুঃখ-কষ্টকে অতীতেই ফেলে রাখুন। তার সাথে আপনার বর্তমানকে মেশাবেন না।



যে ব্যক্তি তার অতীতের দুঃখ কষ্টকে মনে রেখে চোখের জল ফেলে সে তার বর্তমানে কখনোই খুশি হতে পারবে না। সে তার বর্তমান জীবনে কিছুতেই এগিয়ে যেতে পারবে না। সে কিছুই করতে পারবে না। কেননা সে তার অতীতে আটকে আছে সেখান থেকে কিছুতেই বের হতে পারবে না। সে সেই সমস্ত অতীতের স্মৃতি কষ্ট নিয়েই এখনো বেঁচে আছে যদি আপনি নিজেকে সমস্ত মানসিক কষ্ট থেকে বাচাতে চান, তাহলে নিজেকে কখনোই অতীতের স্মৃতি জড়িয়ে রাখবেন না।


কথাই বলে লোকে, কি বলবে লোকে বা কি ভাববে এই চিন্তা করাটাই আসলে সবথেকে বড়বোকামি। লোকে আপনার সম্পর্কে কি ভাবে, সে কথা আপনি ভাববেন না। লোকে আপনার সম্বন্ধে কি ভাবে তা যদি আপনি ভাবেন, তাহলে লোকে কি ভাববে এই মনে করে আপনাকে সফল নাও হতে পারেন। লোকের উপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সুতরাং আপনি চাইলেই তাদের ভাবনা বদলে যাবে না। তাই তারা যা ভাবছে ভাবতে দিন। তারা যা বলতে চাই বলতে দিন। আপনার নিজের যা ঠিক বলে মনে হয় আপনি সেটাই করুন। তবে সেটা সীমার মধ্যে থেকে। কখনো সীমার বাইরে যাবেন না।


বেশিরভাগ সময় লোকের কথা ভেবে সারা দুনিয়ার কথা চিন্তা করে আমাদের জীবনে যা করা উচিত আমরা সেটাই করে উঠতে পারি না। যারা সব সময় ভাবে লোকে কি বলবে, তারা জীবনে বড় কিছু করে উঠতেই পারে না। কারণ তারা লোকের কথায় ভয় পাই। মনে রাখবেন যারা কিছু করে লোকে তাদের কথাই বলে আর যে কিছুই করে না, তার সম্পর্কে লোকে কিছুই বলে না।


যদি লোকে আপনার সম্পর্কে কিছু বলে তবে আপনার খুশি হওয়া উচিত। কেননা আপনি নিশ্চয়ই ভালো কিছু করছেন যা মানুষকে আকর্ষণ করছে। আর সেটা নিয়েই মানুষ কথা বলছে। সে জন্য কখনোই লোকের কথা ভেবে কাজ নয়। বরং নিজের জীবন নিজের, কথা ভেবে সমস্ত কাজ করুন। সময় সবকিছু করে দেয়।


জীবনে যদি কখনো কঠিন সময় আসে অথবা এমন কোন ঘটনা ঘটে যেটা আপনি কখনোই ভেবে দেখেননি, এরকম পরিস্থিতিতে কখনো মনের জোর হারাবেন না। কেননা সময় সমস্ত ক্ষত ঠিক করে দেয় শুধু সময়কে খানিকটা সময় দেয়া দরকার। তাড়াহুড়ো করার জন্য আমাদের জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট সমস্যা আমাদের কাছে অত্যন্ত বড় বলে মনে হয়। বিপদের সময় ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। তাই জীবনে যখন কোন সমস্যা আসবে তা ঠিক হওয়ার জন্য কিছুটা সময় অবশ্যই দেবেন।



যখন আপনি আপনার খারাপ সময় কে যথেষ্ট সময় দেন তখন ভালো সময় নিজে নিজেই আপনার সামনে চলে আসে। কেননা ভালো সময় আর খারাপ সময়ে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। খারাপ সময় চললে আগামীকাল ভালো সময় নিশ্চয় আসবে। আপনার জীবনে খারাপ সময় চললেও বিশ্বাস রাখবেন আগামীকাল আপনার জীবনে ভালো সময় নিশ্চয় আসবে। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কেউ আপনাকে সুখী করতে পারবেনা। সবর্দা তার উপর ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। আপনি একটা কথা সর্বদা মনে রাখবেন আপনি ছাড়া আপনার দুঃখের কারণ আর কেউ নয়।


যতদিন আপনি অন্য কাউকে নিজের জীবনের সুখ-দুঃখের কারণ বলে মনে করবেন, ততদিন আপনার জীবনে কোনো পরিবর্তন হবে না। যখন অন্য কেউ আপনাকে আনন্দ দেবে, তখন আপনি খুশি হবেন। যখন কেউ দুঃখ দেবে, আপনি কষ্ট পাবেন। কেননা আপনি মনে করেন অন্য কারো জন্য আপনার জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আবার অন্য কারো জন্য আপনি খুশি হন কিন্তু এটা সত্যি নয়। আপনার খুশি আপনার সুখ-দুঃখ আপনার ভিতরে আছে ।



যদি আপনি সত্যিই খুশি থাকতে চান তবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া পৃথিবীতে কারো ক্ষমতা নেই যে আপনাকে দুঃখ দিতে পারে। শুধু এটুকু আপনাকে বুঝতে হবে আর নিজের জীবনে আপন করে নিতে হবে। যে ব্যক্তির জীবনে কোনো নিয়ম নেই, সেই ব্যক্তিরা জীবনে কিছু অর্জন করতে পারে না। তাই এমন অভ্যাস গড়ে তুলুন যেটা আপনার ভবিষ্যৎ কে সুন্দর করে তোলে। আর সেই সমস্ত অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন যে আপনাকে পিছনে নিয়ে যাই।

কেমন হলো কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

ধন্যবাদ আর্টিকেলটা পড়ার জন্য।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url